সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা যাবে না : জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে নৌ-ধর্মঘট প্রত্যাহার আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি’র সমাবেশে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিএনজি-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৮ জামালগঞ্জে যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উদযাপন টাঙ্গুয়ার হাওরে লাগানো হবে ৩০ হাজার হিজল-করচ ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল হক চৌধুরী’র মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সীমান্ত পেরিয়ে কয়লা আনতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু নিখোঁজ যুবকের লাশ মিলল নদীতে স্বজনদের দাবি পরিকল্পিত হত্যা এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি ফারিহা একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন পাটলাই নদীতে নাব্যতা সংকট : নৌজটে দুর্ভোগ, লোকসান শান্তিগঞ্জে বিলের পানিতে ফসলডুবির শঙ্কা ঢিলেঢালাভাবে চলছে বাঁধের কাজ, বিল ছাড়ে বিলম্বকেই দায়ী করছে পিআইসি শাল্লায় বাঁধের কাজ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শুরু হলো সিলেট রেঞ্জ পুলিশ আন্তঃচ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দোকান, স’মিল ভস্মিভূত নর্থ ইস্ট আইডিয়াল কলেজে ‘তারুণ্যে উৎসব’ উদযাপিত অপারেশন ডেভিল হান্ট: দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৬ নেতা গ্রেফতার

জামখলা হাওরের জলাবদ্ধতা অবিলম্বে দূর করুন

  • আপলোড সময় : ১২-০২-২০২৫ ১১:৫৬:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০২-২০২৫ ১১:৫৬:২২ অপরাহ্ন
জামখলা হাওরের জলাবদ্ধতা অবিলম্বে দূর করুন
সমস্যাটা জলাবদ্ধতার। হাওর থেকে জল সরছে না। সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে বাঁধের কারণে। এখানে বাঁধ অবশ্য হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ। গত বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদপ্রতিবেদন বলছে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের জামখলা হাওরের ভুক্তভোগীরা বলছেন, “ইউএনও স্যার বলছেন বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করা যাবে না। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বাঁধ কেটে পানি বের করার পর আবার সুরক্ষিতভাবে বাঁধ বেধে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও ইউএনও স্যার অনুমতি দিচ্ছেন না।” এতে করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করা না গেলে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকবে, ক্ষেতে চারা লাগানো যাবে না, ফসলও ফলবে না। বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসল ফলাতে না পারলে এমন বাঁধ দিয়ে দরকার কী? দরকার যে নেই, সেটা কৃষক সাধারণের বোধগম্য হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বোধগম্য নয়, বলেই বোধ হচ্ছে। আমরা তাঁকে আপাতত অভিযুক্ত করছি না, বরং নিবেদন করছি তিনি যেনো বাঁধ কেটে হোক বা না-কেটে হোক, সম্ভাব্য যে-কোনও উপায়প্রকারে হাওরের জলাবদ্ধতার নিরসন করেন এবং তা করতে হবে ঘাত অর্থাৎ ক্ষেতে চারা রোপণের সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগে। অবশ্য বাঁধ অক্ষত রেখে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার নিরসন কোনও অলৌকিক উপায় ব্যতীত অন্যকোনও বাস্তব উপায়ে সম্ভব নয়। কারণ বাঁধের কারণেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এই জলাবদ্ধতার নিরসন না হলে হাওর পতিত থাকবে, প্রকারান্তরে কৃষকের ঘরে ফসল উঠবে না, দেশের খাদ্যোৎপাদন কমবে, দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দেবে এবং সংশ্লিষ্টরা তার জন্য অবশ্যই দায়ি হবেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স