সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরা চেলা নদীতে বালুখেকোদের তান্ডব, হুমকিতে রোপওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. আব্দুল হকের প্রচারণা শুরু দেশ বদলাতে চাইলে নিজেকে বদলাতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার এক মাসে জব্দ প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন পথে যেতে যেতে : পথচারী সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জামখলা হাওরের জলাবদ্ধতা অবিলম্বে দূর করুন

  • আপলোড সময় : ১২-০২-২০২৫ ১১:৫৬:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০২-২০২৫ ১১:৫৬:২২ অপরাহ্ন
জামখলা হাওরের জলাবদ্ধতা অবিলম্বে দূর করুন
সমস্যাটা জলাবদ্ধতার। হাওর থেকে জল সরছে না। সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে বাঁধের কারণে। এখানে বাঁধ অবশ্য হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ। গত বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদপ্রতিবেদন বলছে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের জামখলা হাওরের ভুক্তভোগীরা বলছেন, “ইউএনও স্যার বলছেন বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করা যাবে না। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বাঁধ কেটে পানি বের করার পর আবার সুরক্ষিতভাবে বাঁধ বেধে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও ইউএনও স্যার অনুমতি দিচ্ছেন না।” এতে করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন করা না গেলে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকবে, ক্ষেতে চারা লাগানো যাবে না, ফসলও ফলবে না। বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসল ফলাতে না পারলে এমন বাঁধ দিয়ে দরকার কী? দরকার যে নেই, সেটা কৃষক সাধারণের বোধগম্য হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বোধগম্য নয়, বলেই বোধ হচ্ছে। আমরা তাঁকে আপাতত অভিযুক্ত করছি না, বরং নিবেদন করছি তিনি যেনো বাঁধ কেটে হোক বা না-কেটে হোক, সম্ভাব্য যে-কোনও উপায়প্রকারে হাওরের জলাবদ্ধতার নিরসন করেন এবং তা করতে হবে ঘাত অর্থাৎ ক্ষেতে চারা রোপণের সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগে। অবশ্য বাঁধ অক্ষত রেখে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার নিরসন কোনও অলৌকিক উপায় ব্যতীত অন্যকোনও বাস্তব উপায়ে সম্ভব নয়। কারণ বাঁধের কারণেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এই জলাবদ্ধতার নিরসন না হলে হাওর পতিত থাকবে, প্রকারান্তরে কৃষকের ঘরে ফসল উঠবে না, দেশের খাদ্যোৎপাদন কমবে, দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দেবে এবং সংশ্লিষ্টরা তার জন্য অবশ্যই দায়ি হবেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ